SUDIP ROY BARMAN
SHARE

গত ১২ই জুলাই রাতের বেলা গন্ডাছড়ায় দুর্বৃত্তরা সন্ত্রাস নামিয়ে আনে এক অংশের মানুষের উপর। ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের বাড়িঘর, দোকানপাট। যে সর্বহারা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে জেলাশাসকের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা। অপরদিকে একই সময়ে গন্ডাছড়ায় যেতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী এবং সুধন দাস সহ একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার সকালে তারা রওনা হয়েছিল গন্ডাছড়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু এদিন সকাল থেকে অমরপুরের পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী রাস্তায় তাদের আটকে দেয়। জানা যায়, গন্ডাছড়ার পরিস্থিতি দেখতে ধলাই জেলা শাসকের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। তাদের রবিবার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রের খবর। কিন্তু লক্ষ্য করা গেল সোমবার গন্ডাছড়ায় যাওয়ার সময় অমরপুর পৌঁছাতেই ধলাই জেলা অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এবং পুলিশ জানিয়ে দেয় তাঁরা যদি সেখানে যায় তাহলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। তারপর কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল জানায়, সেখানে তারা মানুষের অবস্থা দেখার জন্য যাচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের মধ্যে বাছাই করা চারজনকে যেতে দেওয়া হোক। কিন্তু পুলিশ কোনভাবেই অনুমতি দেয়নি। তখন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্ন করেন ১৬৩ ধারা জারি থাকার পরেও কিভাবে সেখানে মন্ত্রী টিংকু রায়, বিজেপি নেতা সুবল ভৌমিক, প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা এবং তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ গিয়েছিলেন? তখন পুলিশ আধিকারিকরা জবাব দিতে পারেনি কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে।

সুদীপ রায় বর্মন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, পুলিশ যেমন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে তেমনি সমাজকর্মী হিসেবে কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে চেয়েছিল। কেন তাদের বাধা দেওয়া হবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি? তিনি বলেন পুলিশের বাধা ষ্পষ্ট করে দিয়েছে গত ১১ দিনেও গন্ডাছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় নি। সুতরাং সেখানকার পরিস্থিতি লুকানোর এবং চাপানোর। এভাবে পরিস্থিতি আরো বেশি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। এ ধরনের কার্যকলাপকে ধিক্কার জানান তিনি। অপরদিকে জিতেন্দ্র চৌধুরী পুলিশের বাজার মুখে পড়ে জানান, রাজপথে নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক। এবং এর দ্বারা ষ্পষ্ট প্রশাসন অস্বাভাবিক করছে। সুতরাং বাআব্রু প্রশাসন। তবে এদিন গন্ডাছড়ার পরিস্থিতি নিয়ে সিপিআইএম এবং কংগ্রেস দুই দলের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা বুঝাতে চেয়েছেন অশান্ত গন্ডাছড়া এখনো শান্ত হয়নি।


SHARE