রাজ্যে ৬০৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ৬৩৭০ টি। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৪ হাজার ৭০৪ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ৩৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে আসন সংখ্যা ৪২৩ টি। এর মধ্যে ২৪৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। ভোট হবে ১৭৯ টি আসনে। রাজ্যের আটটি জেলায় ১১৬ টি জেলা পরিষদের আসনের মধ্যে ২০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। যারা জয়ী হয়েছে তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানান প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৭১ শতাংশ আসনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা জয় পাওয়ার পেছনে মূলত কারণ হলো স্বজন পোষন নিতি থেকে রাজ্য বের হয়ে আসছে। রাস্তাঘাট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ সব ক্ষেত্রেই উন্নয়ন চলছে। আর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বলছে তারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারছে না।
মূলত কারণ হলো তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা। আর সাংগঠনিক দুর্বলতা থাকার কারণে তারা প্রার্থী দিতে না পেরে শাসকদলের উপর মিথ্যা আরোপ করছে বলে জানান তিনি। আরো অভিযোগ তুলে বলেন, বেশ কিছু আসনে বিরোধীদল টাকার মাধ্যমে প্রার্থী করেছে। তাই তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার দায়িত্ব ভারতীয় জনতা পার্টির নয় বলে জানান তিনি। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরো বলেন মানুষ ভুলে যায়নি ২৫ বছর কমিউনিস্টদের সন্ত্রাস।
যত বিধানসভা নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগে যখন কংগ্রেস এবং সিপিআইএম আঘাত হয়েছিল তখন তাদের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করতে বলে দাবি করেন রাজীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, কমিউনিস্টের লজ্জা থাকা দরকার, তারা সন্ত্রাস করে বৈতরণী পার হতো। এখন তারা মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি -র সাধারণত সম্পাদক অমিত রক্ষিত সহ অন্যান্যরা।