VOICE24 news VOICE 24 voice24 2 1 6
SHARE

আগরতলা: টিটিএএডিসি-র সাব জোনাল অফিসার ও ডেপুটি প্রিন্সিপাল অফিসারের ১১০ টি শূন্য পদ পূরণের জন্য পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন সেন্টারে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। জম্পুইজলাস্থিত নব সর্দার পাড়া ডন বস্কো স্কুলেও হয় পরীক্ষা। এই পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায় বিশালগড়ের গোকুলনগর ভুইয়ারমাথা এলাকার বাসিন্দা ঠাকুরচান দাস। ঠাকুর চান দাস ১০০ শতাংশ দৃষ্টিহীন। এইদিন সে পরীক্ষা দিতে গেলেও পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়। পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয় নি।

ঠাকুর চান দাসের অভিযোগ পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করার সময় সে উল্লেখ করেছিল সে ১০০ শতাংশ দৃষ্টিহীন। তাই তাকে টিটিএএডিসি প্রশাসন থেকে যেন স্কাইপ প্রদান করা হয়। তার পরবর্তী সময় সে ফের একবার টিটিএএডিসি প্রশাসনের নিকট চিঠি প্রেরন করে একই দাবি জানায়। কিন্তু টিটিএএডিসি প্রশাসন স্কাইপের জন্য কোন প্যানেল গঠন না করায় সে টিটিএএডিসি প্রশাসনকে চিঠি লিখে জানায় যেহেতু টিটিএএডিসি প্রশাসন স্কাইপ প্রদান করার জন্য কোন প্যানেল গঠন করে নি। তাই সে নিজেই স্কাইপ নিয়ে যাবে।

তার স্কাইপ এমকম পাস। কিন্তু টিটিএএডিসি প্রশাসন থেকে সে কোন উত্তর পায়নি। এইদিন সে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পর পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা জানিয়ে দেন সে যেহেতু বিএ পাস, তাই তাকে তার থেকে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন স্কাইপ নিয়ে আসতে হবে। এমকম পাস স্কাইপের সহযোগিতা নিয়ে সে পরীক্ষায় বসতে পারবে না। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঠাকুর চান দাস।

এইদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক জানান ঠাকুরচান দাস সে যে ১০০ শতাংশ দৃষ্টিহীন তার কোন প্রমান পত্র সাথে নিয়ে যায় নি। এমনকি অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সে সাথে নিয়ে যায় নি। তাই তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় নি।


SHARE