বাংলাদেশে ছেলের রক্তাক্ত নিথর দেহে আছড়ে পড়ে কান্না মায়ের
SHARE

কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশে মৃতের সংখ্যা ২০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সারির সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর জেরে মোট মৃতের সংখ্যা ২০১ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে একজন হলেন হিন্দু ছাত্রী। নাম রিয়া গোপ। বয়স মাত্র ১৯ বছর। তিনি নাকি নিজের বাড়ির ছাদে ছিলেন। সেই সময় আচমকাই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। এর আগে গত মঙ্গলবার সাভারের এক হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু ঘটেছিল।

তবে সার্বিক ভাবে এখন আর সেদেশে হিংসা কমেছে। অফিস খুলে গিয়েছে বুধবারই। তবে এখনও স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে না সেখানে। এদিকে বুধবারও নাকি সেদেশে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এদিকে হিংসার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত সেদেশে ১৭৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে বাংলাদেশে এখনও কার্ফু জারি রয়েছে। তবে তা আংশিক ভাবে শিথিল করা হয়েছে। ঢাকায় এখনও মোতায়েন রয়েছে সেনা। এদিকে ইন্টারনেট পরিষেবা ফের চালু করে দেওয়া হয়েছে সেখানে। এই আবহে সেদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই স্বাভাবিক হচ্ছে বলে দাবি হাসিনা সরকারের।

তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসা জারি থাকার জেরেই এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।এদিকে বিএসএফ জানিয়েছে, বিগত চার দিনে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে এসেছেন ৪১ জন বাংলাদেশি। এছাড়াও বাংলাদেশে পড়াশোনা করা ১ হাজারেরও বেশি নেপালি নাগরিক ভারতে এসেছেন। ভুটান, মলদ্বীপের কিছু নাগরিকও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ভারতে। কানাডার ১ জন নাগরিকও এই সময়ালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। এছাড়া সীমান্ত অতিক্রম করা অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক বলে জানিয়েছে বিএসএফ।

এই সবের মাঝে গত ২১ জুলাই বাংলাদেশিদের ‘আশ্রয়’ দেওয়ার কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই মন্তব্য নিয়ে দিল্লিকে ইতিমধ্যেই নালিশ জানিয়েছে ঢাকা। ঢাকার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় প্ররোচিত হতে পারে জঙ্গিরা। তিনি যে মন্তব্য করেছেন, সেটা প্ররোচনামূলক। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মিথ্যা কথা বলেছেন মমতা। এই নিয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বাংলাদেশ সরকার নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছে। এই নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মমতার মন্তব্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোর সুযোগ রয়েছে।


SHARE