শিক্ষা ক্ষেত্রের উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
উত্তর জেলার পানিসাগর বিধানসভার জলেবাসায় নবনির্মিত ডিস্ট্রিক্ট ইন্সটিটিউট অফ এডুকেশনাল ট্রেনিং (ডিআইইটি) এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের আগে চারটি ডিস্ট্রিক্ট ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (ডায়েট) কলেজ ছিল। আর এখন এটি সহ আমাদের পাঁচটি ডায়েট কলেজ হয়েছে। একটি সমাজের সাফল্য নির্ভর করে তার মানুষের শিক্ষার উপর। শিক্ষা আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকারের মধ্যে একটি। শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বলতা চিহ্নিত করতে মাত্র গতকাল আমরা একটা বৈঠক করেছি। সেখানে আমি শিক্ষার উন্নতির বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনেক শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ করেছি। কারণ শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই এবং জ্ঞানের কোনো শেষ নেই।
মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের উন্নয়ন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তন করেছেন, যা আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। যাতে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা দেশের বাকি অংশের সাথে টাল মিলিয়ে চলতে পারে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। এই বরাদ্দ থেকে বোঝা যায় যে প্রধানমন্ত্রী মোদি শিক্ষার ওপর কতটা গুরুত্ব দিয়েছেন। এর পাশাপাশি বিদ্যা প্রবেশ প্রকল্পের জন্য ১২৮ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। এটি একটি তিন মাসের ক্রীড়া ভিত্তিক স্কুল প্রস্তুতি মডিউল। ডাঃ সাহা বলেন, আমাদের সরকার খেলাধুলা এবং খেলার উপর ভিত্তি করে এই কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা করছে। এজন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। ডিজিটাল/অনলাইন/অন-এয়ার শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত পিএম ই-বিদ্যাও চালু করা হয়েছে। দিশা স্কিমটিও বাস্তবায়িত হয়েছে৷ ডায়েট – এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার ছাত্রছাত্রীদের উন্নত শিক্ষা প্রদানে পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য কাজ করছে৷ আমি সবসময় পরিকাঠামোর পাশাপাশি মানব শক্তির উপর গুরুত্ব দিই। সম্প্রতি, আমরা গন্ডাছড়ায় নতুন স্কুল ভবন, দক্ষিণ জেলায় নতুন স্কুল ভবন এবং সোনামুড়ায় মেয়েদের একটি নতুন হোস্টেল উদ্বোধন করেছি। এছাড়াও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরো নানা ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা মন্ত্রী টিঙ্কু রায়, বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস, বিধায়ক যাদব লাল নাথ, উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের সচিব রাভাল হেমেন্দ্র কুমার, উত্তর ত্রিপুরা জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন এবং উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
প্রায় ৫.৫ কানি জায়গা জুড়ে মোট ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রতিষ্ঠানে ৪টি ক্লাশ রুম সহ অত্যাধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়াম, ল্যাব সহ অন্যান্য সকল সুবিধা রয়েছে।