গন্ডাছড়া মহকুমারের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাস নিয়ে অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের দরবারে সামিল হলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্যে এসেছেন। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত রয়েছেন লোকসভার উপাধ্যক্ষ গৌরব গগৈ, উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ গিরিশ চূড়াঙ্কর, তারিক আনোয়ার এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস সম্পাদিকা জারিতা লাইতফ্লাঙ। তারা রাজ্যে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে নিয়ে রাজ্যপাল ইন্দ্রসেনা রেড্ডি নাল্লুর সাথে দেখা করতে যান।
সেখানে গন্ডাছড়ার মহকুমা অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি রাজ্যের ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে যে সন্ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়েও দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন। পরবর্তী সময়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লোকসভার উপাধ্যক্ষ গৌরব গগৈ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের ইনচার্জ গিরিশ চূড়াঙ্কর জানিয়েছেন, গন্ডাছড়া নিয়ে কংগ্রেস চিন্তিত। যেভাবে মনিপুরে ভ্রাতৃ ডাঙ্গা সৃষ্টি করা হয়েছিল সেভাবে ত্রিপুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা সংঘটিত হলে পুলিশ নির্বিকার।
গত কয়েকদিনে বড়সড় ক্ষতি হয়েছে গন্ডাছড়ায়। রাজ্যপালের সাথে সাক্ষাৎ করে দাবি করা হয়েছে যারা এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের যাতে সহযোগিতা করা হয়। পাশাপাশি হিসাব করে সমস্ত ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁরা রাজ্যপালের কাছে আরো জানিয়েছেন, ত্রিপুরা রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।
নির্বাচনে লড়াই করার মতো কোনো সুযোগ নেই বিরোধীদের কাছে। শাসক দল বিরোধীদের গণতান্ত্রিক অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিচ্ছে। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর এবং গন্ডাছড়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আগে পুলিশ প্রশাসনকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে যাতে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতা সন্ত্রাস কোনভাবেই রুখা যায়নি। তাই দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গণতন্ত্রের যে মডেলের কথা দাবি করছে, সেই গণতন্ত্রের মডেলে ত্রিপুরাকে যাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কারণ সন্ত্রাস যেভাবে কায়েম হয়ে আছে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে কি ধরনের সন্ত্রাস বিজেপি করতে পারে সেটা দেশবাসী এখন দেখতে পাচ্ছে। রাজ্যপাল সমস্ত বক্তব্য শুনতে পেয়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন এ বিষয়টি অবশ্যই তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন। তাঁরা আরো জানিয়েছেন, শুক্রবার তারা আগরতলা শহর সহ আশেপাশে বিভিন্ন এলাকায় যাবেন। বাস্তব পরিস্থিতির সরজমিনে খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।