ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সেকেন্ডারি মার্কেটে ৩৪০০ কোটি টাকার (৪০৬ মিলিয়ন ডলার) বন্ড বিক্রি করেছে। বৈশ্বিক সূচকে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরে দেশের ঋণে প্রবাহের ফলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় অতিরিক্ত নগদ ঢুকতে পারে এই ভাবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই বন্ড বিক্রির প্রক্রিয়া চলেছে ৪ দিন ধরে।
গত মাসের শেষের দিকে জেপি মরগান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির ফ্ল্যাগশিপ উদীয়মান বাজার বন্ড সূচকে ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপরে জুলাই মাসে স্থানীয় বন্ডে বিদেশি বিনিয়োগ এখনও পর্যন্ত ১ বিলিয়ন ডলারের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর ফলে ভারতীয় মুদ্রার ‘লিকুইডিটি’ বৃদ্ধি হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে নিজের রিজার্ভ বাড়িয়েছে। ওই সপ্তাহে আরবিআইয়ের রিজার্ভে ৯৭০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে।
নির্বাচন পরবর্তী সরকারি ব্যয় এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কর্মকাণ্ডের কারণে ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ‘লিকুইডিটি’ ঘাটতি মিটিয়ে উদ্বৃত্ত অবস্থায় পৌঁছেছে। ব্লুমবার্গ ইকোনমিকস ইনডেক্স অনুযায়ী, ব্যাঙ্কগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে যে অতিরিক্ত লিকুইড ক্যাশ জমা করে, তার পরিমাণ বেড়ে ১.৪ ট্রিলিয়ন টাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের জুন মাসে মরগান চেজ অ্যান্ড কোম্পানির ব্ড সূচক চালু হওয়ার পরে ২৫তম বাজার হিসেবে ভারতের অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে এতে। এই অন্তর্ভুক্তির ফলে ভারতীয় বাজারে ২০ বিলিয়ন থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার বন্ডের মাধ্যমে ১৪.১ ট্রিলিয়ন টাকা ঋণ নিতে চাইছে। এই আবে মঙ্গলবার পেশ হতে চলা পূর্ণাঙ্গ বাজেটের দিকে নজর রয়েছে সবার। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সাধারণত, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত লিকুইডিটির পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন টাকা ছাড়ালেই আরবিআই হস্তক্ষেপ করে থাকে। তবে গত কয়েক সপ্তাহে এই পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন টাকার অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল।