ইনফর্মেশন টেকনোলজি আইন, ২০০০-র ৬৯এ ধারার অধীনে জারি করা নয়া রুল মেনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য জানানোর জন্যে বাধ্য মেটা। তবে সরকারের এই নির্দেশিকা মানতে নারাজ মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা। এই নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত করেছিল তারা। হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছিল, মেসেজ এনক্রিপশন ভাঙার নির্দেশ এলে ভারতে পরিষেবা বন্ধ করবে তারা। এই আবহে সত্যিই কি ভারতে WhatsApp বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? সম্প্রতি এই প্রশ্নই উত্থাপিত হয়েছিল সংসদে।
রাজ্যসভায় কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তঙ্খার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন, ব্যবহারকারীদের তথ্য দিতে বাধ্য করায় কি হোয়াটসঅ্যাপ ভারত ছেড়ে চলে যাচ্ছে? কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে বৈষ্ণব জানান, দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সরকারকে জানানো হয়নি।
এর আগে সরকার নির্দেশ দিয়েছিল, প্রয়োজনে ব্যবহারকারীদের তথ্য সরকারকে জানাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপকে। এই আবহে সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালে যায় হোয়াটসঅ্যাপ। এই নিয়ে আদালতে হোয়াটসঅ্যারপ দাবি করেছিল, ব্যবহারকারীদের তথ্য সরকারকে দিতে হলে তা তাদের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতির পরিপন্থী পদক্ষেপ হবে।
এই নিয়ে সংসদে প্রশ্ন উঠলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব বা অখণ্ডতা, ভারতের প্রতিরক্ষা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশনা জারি করেছিল। এছাড়া কোনও অপরাধের বিষয়ে জানার জন্য বা উস্কানি রোধ করার জন্যেই ব্যবহারকারীদের তথ্য সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছিল সরকার।’