আগামী ২৩ জুলাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে। যা তৃতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বাজেট হতে চলেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি যখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বাজেট পেশ করেছিলেন, তখন সেটা অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বা ভোট-অন-অ্যাকাউন্ট ছিল। নয়া সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত কাজ চালানোর জন্য সেই বাজেট পেশ করা হয়েছিল। এবার পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করা হবে।
সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, ‘আগামী ২২ জুলাই থেকে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত (সংসদীয় কার্যাবলির উপরে নির্ভর করছে) সংসদের বাজেট অধিবেশন ডাকার জন্য ভারত সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তা গ্রহণ করেছেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি। আর ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই পেশ করা হবে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেট.
আর বাজেট পেশ দিনক্ষণ ঘোষণার মধ্যেই বিভিন্ন অংশের মধ্যে একাধিক আশা-প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। তারইমধ্যে একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে যে এবার বাজেটে বেতনভোগী মানুষদের স্ট্যান্টার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হতে পারে। আপাতত স্ট্যান্টার্ড ডিডাকশনের অঙ্কটা হল ৫০,০০০ টাকা। সেটা বাড়িয়ে এবার বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হতে পারে বলে একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন: বেতনভোগী কর্মীরা নিজেদের বেতন উপরে যে ছাড় পান, সেটা হল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। আপাতত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের আওতায় ৫০,০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যায়। সেজন্য কোনও নথি জমা দিতে হয় না। সরকারি বা বেসরকারি- যে কোনও ক্ষেত্রেই কর্মরত কর্মচারীরা সেই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের ফায়দা তুলতে পারেন। ফলে তাঁদের করযোগ্য আয় ৫০,০০০ টাকা কমে যায়।
সংবাদমাধ্যম মানিকন্ট্রোলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইওয়াই ইন্ডিয়ার ট্যাক্স পার্টনার অ্য়ান্ড মোবিলিটি লিডার অমলপাল এস চাড্ডা বলেছেন যে এবার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের অঙ্কটা বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করা হতে পারে। ফলে বেতনভোগীদের হাতে বেশি টাকা থাকবে। গ্র্যান্ট থ্রনটন ভারতের পার্টনার অখিল চন্দনার মতে, মূল্যবৃদ্ধির হার বেড়ে যাওয়ায় বেতনভোগীদের জন্য সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।