বাম আমল, রাম আমল সব আমলই জমি মাফিয়ার তান্ডবে আতঙ্ক বিরাজ করে রাজধানীর টাউন ইন্দ্রনগর এলাকা। শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের দ্বারা এলাকায় ম্যানেজ হয় এই মাফিয়া রাজ। গত কয়েকদিন আগে ৬ আগরতলার স্থানীয় এক হনু নেত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছিল গুরুতর অভিযোগ। তিনি এলাকায় মাফিয়া রাজ কায়েম করে রেখেছে। আর এ বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এক প্রকার ভাবে প্রভাব পড়েছিল।
কিন্তু এরই মধ্যে দুদিন অতিক্রান্ত হতে না হতেই ঘটে গেল এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা। বাম আমলের রামাবলি বদলে যারা রাতারাতি গেরুয়া রামাবলি গায়ে জড়িয়েছে তারাই এখন এলাকার বড় মাফিয়া। তাদের হাতেই আক্রান্ত হলেন ত্রিপুরা সরকারের এক একাউন্টেন্ট। তিনি নিজ বাড়ির সামনে কয়েকজন মাফিয়া দ্বারা আক্রান্ত হয়।
তার নাম প্রণব ভৌমিক। তিনি জানান দুর্বৃত্তরা যখন তাকে আক্রমণ করেছে তখন সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ ঘটনার স্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পুলিশের গাড়ি দিয়ে জিবি হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো এখন পর্যন্ত পুলিশ ঘটনার সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর নেয়নি বলে জানান আক্রান্ত প্রণব ভৌমিক। তবে এই ঘটনার পেছনে মূলত কারা জড়িত সেটা হয়তো ভালো করেই অনুমান করতে পারছে এলাকাবাসী। হাসপাতালে শয্যাশায়ী প্রণব ভৌমিক জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যাতে অবিলম্বে মাফিয়া রাজ শেষ করে এলাকায়।
নাহলে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগ জনক বলে মনে করছেন তিনি। উল্লেখ্য, আক্রান্ত প্রণব ভৌমিকের লেনদেন নিয়ে জমি মাফিয়াদের সাথে মতবিরোধ হয়েছিল। যার কারণে এই ঘটনার সূত্রপাত। বিষয়টি আক্রান্ত ব্যক্তি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমান সরকারের আমলে আগরতলা শহরের অলিগলিতে জমি মাফিয়া ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে।
কেউ জমি ক্রয় বা বিক্রি করতে গেলে সেখানে থাবা বসাচ্ছে তারা। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার মত শক্তি সরকার ছাড়া কারণ নেই। কারণ তারা এই সরকারের বংশধর মন্ডল নেতা। মন্ডলের বিভিন্ন পদে থেকে বিভিন্ন এলাকায় মাফিয়া রাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আর উপর থেকে ম্যানেজ করা হচ্ছে থানা পুলিশ। মানুষ আক্রান্ত হলেও সে বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে পর্যন্ত ভয় পাচ্ছে। এর জন্য দায়ী কে প্রশ্ন সচেতন মহলের?