চোপড়া কাণ্ডে নয়া মোড়। কেন ভাইরাল করা হয়েছে মারধরের ভিডিয়ো? এবার সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের। ৩০ জুন এফআইআর দায়ের করেছেন নিগৃহীত মহিলা। FIR-এর নথি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল। ওই মহিলা কি কোনও চাপের মুখে পড়ে এ ধরনের এফআইআর দায়ের করেছেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জলঘোলা।
নির্যাতন যাঁরা করল, তাঁদের বিরুদ্ধে কেন FIR নয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, অমিত মালব্য এবং মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্ট ৬৬এ/৬৬ই/ এবং ৬৭ এ ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, চোপড়ায় রাস্তায় ফেলে মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে মূল অভিযুক্ত জেসিবিকে গ্রেফতার করে।
কিন্তু তারপরও আতঙ্কে ছিল নির্যাতিত পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। কারণ জেসিবি-র ভাই আলম গির ও তাঁর দলবল গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ ওঠে, মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল করতে পারে, এমন সন্দেহে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে শাসিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ। চলে ভাঙচুর, তাণ্ডবেরও অভিযোগ।
এমনকি জেসিবি গ্রেফতারির পরও TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে মুখ খুলেছিলেন নির্যাতিতর মা। তিনি বলেন, “যে ভিডিয়োটা করেছে, তার আমি শাস্তি চাই। ভাইরাল করে আমার ধর্মটা নষ্ট করেছে।” ঘটনার পর থেকে তিনি এতটাই ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন, তাঁকে প্রশ্ন করা হয় যে তাঁর ছেলেকে মেরেছেন, তাঁর শাস্তি চান না? তিনি বলেছিলেন, “না তাঁকে আমি চিনি না। না না আমি ওকে চিনিই না। যে ভাইরাল করেছে, তাকেই আমি চাই।”
এই ঘটনার পর মহিলার এই এফআইআর-এ স্বাভাবিকভাবেই হাজারও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, “জেসিবি-র কাজ কোনওভাবেই দল বা সরকার সমর্থন করে না। তাই সে গ্রেফতার হয়েছে। মহিলা নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল করে যারা উল্লাসিত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এবার মামলা হয়েছে।”