ইউনাইটেড কিংডমে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। আর এবারের ভোটে আগেরবারের থেকেও বেশি সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে হাউজ অফ কমনসে নির্বাচিত করে পাঠাতে পারেন ব্রিটিশ ভোটাররা। এমনই দাবি করছে ব্রিটিশ ফিউচার থিংক ট্যাঙ্ক। এবারের ব্রিটিশ নির্বাচনে লেবার পার্টি জিততে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঋষি সুনকের নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতাচ্যুত হতে পারে প্রায় ১৫ বছর পরে। এবার লেবার পার্টির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ব্রিটিশ সংসদে বৈচিত্র্যের ইতিহাস গড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। থিংক ট্যাঙ্কের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শুধু ভারতীয় বংশোদ্ভূত নয়, সব মিলিয়ে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রতিনিধি এবারের নির্বাচনে জিততে পারেন ব্রিটেনে। এবারের নির্বাচনে কনজারভেটিভদের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থীর সংখ্যা ৯ আর লেবার পার্টিতে সেই সংখ্যা ১০।
কনজারভেটিরদের মধ্যে থেকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা হলেন – ঋষি সুনক, শৈলেশ ভারা, গগন মহিন্দ্র, ক্লেয়ার কুটিনহো, প্রীতি প্যাটেল, সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান, শিবানী রাজা, চন্দ্র কন্নেগন্টি, অমিত জোগিয়া। এদিতে লেবারের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থীরা হলেন – প্রফুল্ল নারগুন্দ, জস আঠওয়াব, বগ্গি শঙ্কর, সৎবীর কউর, হরপ্রীত উপ্পল, রাজেশ আগরওয়াল, ওয়ারিন্দর জাস, গুরিন্দর সিং জোসান, কণিষ্ক নারায়ণ এবং সোনিয়া কুমার।
এছাড়া ওয়ান লেস্টার পার্টির থেকে প্রার্থী হয়েছেন কিথ ভাজ। আর নির্দল হিসেবে লড়ছেন সঙ্গীত কউর ভৈল এবং জগিন্দর সিং।২০১৯ সালের নির্বাচনে ব্রিটিশ সংসদে ১৫ জন ভারতীয় বংশোদ্ভীত নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারে সেই সংখ্যাটা ছাপিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ৪০ বছর আগেও ব্রিটেনের সংসদে জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধির সংখ্যা ছিল শূন্য। আর এবারে তা প্রায় ১৪ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০ মাস আগেই ঋষি সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন। ২০২২ সালের দিওয়ালির সময় তিনি প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে ব্রিটেনের গদিতে বসেছিলেন।
তবে বিগত ২০ মাসে তাঁর কাজকর্মে ব্রিটিশ ভোটাররা সেভাবে সন্তুষ্ট নন বলেই উঠে এসেছে বিভিন্ন সমীক্ষা এবং রিপোর্টে। এই আবহে ২০০৫ সালের পর ফের (শেষবার ২০০৫ সালে লেবার পার্টি ভোটে জিতে ২০১০ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল) একবার ব্রিটেনে কনজারভেটিভদের হারিয়ে লেবার পার্টি ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ঋষি হাল ছাড়েননি। কনজারভেটিভদের হয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।