এমপি আনার হত্যা: মোস্তাফিজের পর এবার ফয়সালের দায় স্বীকার
SHARE

নিউ টাউনে অপারেশন করে সীমান্ত পার করে দেশে ফিরে গিয়েছিল বাংলাদেশের এমপি আনোারুল আজিমের খুন মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল গাজি। তারা লুকিয়ে ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির একটি জঙ্গলে। সেখানে তারা পাতাল কালী মন্দিরে আশ্রয় নেয় হিন্দু সেজে। পরিচয় দেয় পলাশ রায় ও শিমুল রায় হিসবে।

বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল চট্টোগ্রামের ওই মন্দিরে দুইজন কালীভক্ত ঢুকেছে। সেই খবরের উপরে ভিত্তি করে অভিযান চালানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হারুন আর রশিদ মন্দিরে আশ্রয় পেতে তারা হিন্দু নাম ধারণ করেন। স্থানীয়দের কাছে তারা বলতেন কালী মাতার কাছে থাকতে তাদের ভালো লাগে।

তাই তারা মন্দির ছেড়ে কোথাও যাবেন না। সীতাকুণ্ডের একটি পাহাড়ের নিচে ‘পাতাল কালী মন্দির’ রয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা পলাশ রায় ও শিমুল রায় নাম ধারণ করে হিন্দু সেজে দুজনেই কালী মন্দিরে থাকতেন। তারা রাতেও সেখানেই থাকতেন। বলতেন, আমরা মাকে বেশি ভালোবাসি, তাই মায়ের পাশেই থাকতে চাই। ওই খবরের উপরে ভিত্তি করে অভিযান চালায় পুলিস। অন্যদিকে আকাশে কপ্টার উড়িয়ে পুলিস পৌঁছে দেওয়া হয় পাহাড়ি এলাকায়। শেষপর্যন্ত তাদের ধরে ফলে পুলিস।

হারুন আর রশিদ বলেন, মোস্তাফিজ এবং ফয়সাল মিশন সম্পন্ন করে ১৯ তারিখ দেশে ফিরে আসে। তারপর আনার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী শাহিনের সঙ্গে কথা বলে। শাহিন তাদের খরচের জন্য ৩০ হাজার টাকা দেন। এই টাকা নিয়ে তারা এখানে পাহাড়ে চলে যায়। কেননা আগে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করায় জায়গাগুলো তাদের চেনা ছিল। ফলে তারা পাতাল কালী মন্দিরে এসে থাকত এবং ঘুমাত।


SHARE