bangladesh news
SHARE

সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’। এর মধ্যেই রাজধানী ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারে বুধবার মধ্যরাতে গুলিতে মৃত্যু হয় ১ পড়ুয়ার।   

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ। আন্দোলনে সামিল হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলিগের সদস্যরা। এর জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ৬ জনের। আজ, বৃহস্পতিবার কমপ্লিট শাটডাউন (সর্বাত্মক অবরোধ) কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। শুধু হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা।

হাইলাইটস –

  • সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ।
  • আন্দোলনে সামিল হাজার হাজার শিক্ষার্থী।সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারা দেশে চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’।
  • ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারে বুধবার মধ্যরাতে গুলিতে মৃত্যু হয় ১ পড়ুয়ার।   

ফেসবুকে এই কর্মসূচির ঘোষণা করেন কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। জানা গিয়েছে, ‘শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাব ও সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে’ এই কর্মসূচি পালন করবেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গোটা দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ৷ ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আমাদের অভিভাবকদের বলছি, আমরা আপনাদেরই সন্তান। আমাদের পাশে দাঁড়ান, রক্ষা করুন। এই লড়াইটা শুধু ছাত্রদের না, দলমত-নির্বিশেষে দেশের জনসাধারণের।’

আরও পড়ুন-

গতকাল দিনভর উত্তপ্ত ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে মোড়ে মোড়ে টহল দিচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দুপুর থেকে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে ক্যাম্পাসে জড়ো হন। শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত কফিনমিছিল শুরু করা মাত্র হামলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলে অভিযোগ। এসময় দুই পাশ থেকে সম্মিলিত আক্রমণের মধ্যে পড়ে আহত হন অন্তত ২০ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন মেয়েও ছিল। আহত হয়েছেন ১০ জন সাংবাদিকও। 

এছাড়া রাতের ঢাকায় ফের নতুন করে অশান্তি ছড়ায়। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। কাঠ ও টায়ার জ্বালিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। পালটা আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এর পর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চানখারপুল মোড় পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে গোটা এলাকায় চরম উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়।


SHARE