উত্তর পূর্বের দুই রাজ্যে সোমবার সফর করেন কংগ্রেসের কেরলের ওয়েনাদের সাংসদ রাহুল গান্ধী। বন্যা বিধ্বস্ত অসমে বন্যাকবলিতদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি মণিপুরের দাঙ্গা বিধ্বস্তদের সঙ্গে দেখা করেন। মণিপুরের দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাঁরা অসমের কছর জেলায় আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রাহুল। আশ্বাস দেন, তাঁদের দুর্দশার কথা তিনি তুলে ধরবেন সংসদে। গতমাসে দাঙ্গার জেরে মণিপুরের জিরিবাম জেলা থেকে গত মাসেই ১৭০০ মানুষ আশ্রয় নেন অসমে। মণিপুরের জিরিবাম থেকে অসমে আসা সেই শরণার্থীদের সঙ্গে এদিন কথা বলেন রাহুল।
সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ অসমের শিলচর বিমানবন্দরে নামেন রাহুল। এরপর তিনি যান, কছর জেলার লখিপুরের থালাই ইন-এর ক্যাম্পে যান। সেখানের ত্রাণ শিবির থেকে সড়কপথে মণিপুরের জিরিবামের ত্রাণ শিবিরের উদ্দেশে রওনা হন রাহুল। জিরিবামের হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলে তিনি দাঙ্গা বিধ্বস্ত রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে, জিরিবামে রাহুলের সফরের আগেই নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে উগ্রপন্থীরা হামলা করে বলে খবর। দুই পক্ষের গুলির লড়াই চলে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই।
এদিকে, জিরিবাম থেকে ফের সড়কপথে রাহুলের শিলচর আসার কথা। সেখান থেকে তিনি ইম্ফলের দিকে রওনা হবেন। ,সেখানে চন্দ্রচুরপুরে কুকি সম্প্রদায়ের ত্রাণ শিবিরে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করার কথা রাহুলের। বিকেল ৫.৩০ টার দিকে, তিনি রাজভবনে মণিপুরের রাজ্যপালের সাথে দেখা করার কথা রয়েছে এবং রাজ্য কংগ্রেস অফিসে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সফর শেষ করবেন।
এর আগে, অসমের লখিপুরে বন্যাপিড়ীতদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। উল্লেখ্য, অসমের বন্যায় চলতি বছরে ২৮ টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৩ লাখ মানুষ সেখানে বন্যা পীড়িত। বন্যা, ভূমিধস, ঝড়ে অসমে ৭৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। ঘর ছাড়া হয়ে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন অনেকেই। ৬৮ হাজার হেক্টরেরও বেশি চাষজমি সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার জেরে। এই পরিস্থিতিতে রাহুল গান্ধী অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।