ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি দেশটির সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে। আগেই বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই ইঙ্গিতকে সত্যি করে শুক্রবার ‘পরিবর্তন’ ঘটল ব্রিটেনে। মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টি হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের মধ্যে প্রায় ৪০০টি আসন পেতে পারে। ইতিমধ্যেই তারা ম্যাজিক ফিগার ৩২৬ পার করে গিয়েছে।
এই আবহে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ৬১ বছর বয়সি কিয়ের স্টার্মার। এই আইনজীবীকে নাইট উপাধী দিয়েছিলেন প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২০১৫ সালে তিনি প্রথম লন্ডন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পরে দলের নেতা হয়েছিলেন স্টার্মার।
২০০৮ থেকে ২০১৩ স্টার্মার ছিলেম ডিরেক্টর অফ পাবলিক প্রসিকিউশন। ১৯৬২ সালে লন্ডনের উপকণ্ঠে জন্ম নেওয়া স্টার্মার বেড়ে উঠেছিলেন সারে-র অক্সটেড শহরে। তাঁর মা ছিলেন নার্স এবং বাবা কারিগর। স্টার্মারের মা-বাবা দু’জনেই লেবার সমর্থক ছিলেন। স্টার্মাররা চার ভাই-বোন ছিলেন।
তিনি ছিলেন দ্বিতীয় সন্তান। পরে লিডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি।এর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছিলেন লেবারের প্রাক্তন নেতা জেরোমি করবিন। এর জেরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভারতীয়রা লেবারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তবে স্টার্মার দলের হাল ধরার পরে সেই ‘ভুল’ স্বীকার করে কাশ্মীর ইস্যুতে দলের অবস্থান বদলের কথা বলেছিলেন। পাশাপাশি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ফের দলের দিকে টানতে হিন্দুফোবিয়ার বিরোধিতা করেছিলেন।ভোটে জিতে স্টার্মার বলেন, ‘১৪ বছর পর ফের ব্রিটেন নিজেদের ভবিষ্যত ফিরে পেয়েছে।
আমরা এটা করে দেখিয়েছি। আপনারাই এর জন্যে প্রচার করেছিলেন। এই জয়ের পক্ষে লড়াই করেছিলেন। আমাদের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন এবং এখন সেই মুহূর্ত এসে গিয়েছে। সত্যি বলতে, খুবই ভালো লাগছে।’ তাঁর কথায়, ‘ভোটাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পরিবর্তন চাইছেন। সব কিছুই ভোটারদের মাধ্যমে হয়। এই সমাজ থেকেই পরিবর্তনের সূচনা হবে।’