কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস শিয়ালদহ-সাব্রুম ১৩১৭৪ এই নাম্বারে ট্রেনটি শিয়ালদা স্টেশন থেকে গতকাল রবিবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে যাত্রী নিয়ে সাব্রুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ট্রেনে থাকা দূর-পাল্লার যাত্রীদের অভিযোগ প্রায় ১২-১৩ ঘন্টা লেইটে চলছে এই শিয়ালদহ-সাব্রুম গামী ট্রেনটি। যাত্রীদের আরো অভিযোগ গতকাল সকালবেলা শিয়ালদা স্টেশনে থেকে রওনা দেবার পর আজকে সন্ধ্যা ৫ টায় লামডিং স্টেশন আসতে গিয়ে কিছু কখন পর পর ট্রেনটি এসে দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীরা ধৈর্য হারিয়ে শেষমেষ লামডিং স্টেশনে ট্রেনটি বেশকিছু কখন দারানো দেখে এই ট্রেনের মধ্যে থাকা দূর-পাল্লার যাত্রীরা স্টেশন মাস্টারের রুমের সামনে গিয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা যাত্রীরা অভিযোগ করেন , এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি শিয়ালদা স্টেশন থেকে গতকালকে রবিবার দিন সকালবেলা নির্ধারিত সময় ৬:২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল, আর সেই জায়গায় ছাড়লো ৯:৩০ মিনিটে, প্রায় ৩৩ ঘন্টা অতিক্রান্ত হতে চলছে। এখনও প্রচন্ড ধির গতিতে চলছে,এই ট্রেইন। শুধু নামিই কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস কাজে কিছুই না। অপরিচ্ছন্ন শৌচালয়, দুর্গন্ধ যেন নরকুন্ডে পরিণত হয়ে আছে।, অপরিচ্ছন্ন রেলের সবকটি বগি, পানীয় জলের কোন সু-ব্যবস্থা নেই,। খাওয়ারের দাম এতটাই বেশি যে শুনলেই না বিশ্বাস উঠে যায়। ট্রেনে থাকা অসুস্থ রোগী ও শিশুদের অবস্থা ধিরে ধিরে খারাপের দিকে যাচ্ছে । খবর লেখা শেষ অবধি নিপা স্টেশনে এসে পৌঁছালো। কিছুদিন বাদে বাদে শুধু নতুন নতুন নামের ট্রেন উদ্বোধন হচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা কতটুকু পাচ্ছে মানুষ কে খোঁজ রাখে। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের দাবি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এর নাম পরিবর্তন করা দরকার। নতুন নামকরণ করে শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা রাখা দরকার। এক্সপ্রেস যদি এটা হয়। তাহলে বর্তমান প্রজন্ম কি শিখবে। এখন দেখার বিষয় রেল কর্তৃপক্ষ কি ব্যবস্থা নেয়