রেড অ্যালার্ট জারি করা রাজ্যগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া ত্রিপুরাও রয়েছে। এই রাজ্যে সাম্প্রতিক রেকর্ড বর্ষণের কারণে বাংলাদেশের কয়েকটি জেলায় ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। যে কারণে ভারতের এসব রাজ্যে আবার নতুন করে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত দেখা দিলে তা বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজস্থানের চিতোরগড় থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে একটি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছে। ২৯ আগস্টের মধ্যে এই গভীর নিম্নচাপ পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে অগ্রসর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণ রাজস্থান ও গুজরাটে ব্যাপক বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পরে গভীর নিম্নচাপটি সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ হয়ে পাকিস্তানের কিছু অংশে পৌঁছাতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, বাংলাদেশ ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর আরেকটি নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; যা উত্তর ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের মতো অঞ্চলগুলোতে প্রভাব ফেলতে পারে। এ সময় তীব্র বাতাসের পাশাপাশি সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। যে কারণে সম্ভাব্য বন্যার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে আইএমডি মৎস্যজীবী, কৃষক এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
সোমবার আইএমডির জারি করা পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, মহারাষ্ট্র এবং গোয়ায় আগামী ২ থেকে ৩ দিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম ও ত্রিপুরাতেও একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে। এসব এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।