বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে আলোচনার জন্য রবিবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় মুখ্যমন্ত্রীদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগের বিস্তারিত আপডেট তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহুরে) এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) এর অধীনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি জানান, সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে রাজ্যে হাজার হাজার শহুরে এবং গ্রামীণ পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি রাজ্যে জল জীবন মিশন নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প সরকারের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোকাস ক্ষেত্র। এতে ত্রিপুরার প্রতিটি গ্রামীণ পরিবার পৃথক পানীয় জল সংযোগের মাধ্যমে নিরাপদ এবং পর্যাপ্ত পানীয় জলের যোগান উপলব্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। সেই সঙ্গে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ত্রিপুরায় আর্থিকভাবে সুবিধা বঞ্চিতদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে গুনগতমান সম্পন্ন চিকিৎসা পরিষেবা নিশ্চিত করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটে চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।এর ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রাজ্যে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং গ্রামীণ এলাকায় পণ্য পরিবহণ ও যাতায়তের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি কৃষকদেরকে গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করেছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (কৃষি) পশুপালন ও মৎস্য চাষের সম্প্রসারণ সহ কৃষকদের সহজলভ্য ঋণের সুবিধা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন ধরণের উন্নত চাষাবাদের মাধ্যমে কৃষক সমাজ উপকৃত হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনায় অনেক নাগরিককে জীবন বীমা কভারেজ প্রদান করেছে এবং তাদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া স্বামীত্ব স্কিম, ভারত নেট, সয়েল হেলথ কার্ড, অটল পেনশন যোজনা এবং স্বানিধি প্রকল্পগুলির বিষয়েও বিশদ তথ্য উপস্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী।