মহারাষ্ট্র জুড়ে ভারী বৃষ্টির জেরে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭ জনের। এর মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে পুনে শহরেই। এদিকে ভারী বৃষ্টির জেরে মুম্বইও ডুবে গিয়েছে। আজ আইএমডি-র তরফ থেকে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বই লাগোয়া বেশি কিছু জায়গার জন্যে। এই আবহে আজ আরও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বাণিজ্যনগরীতে। এর আগে গতকাল মুম্বইতে ১১টি উড়ান বাতিল হয়েছিল।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিম মহারাষ্ট্র, কোঙ্কন এবং বিদর্ভ অঞ্চলে বৃহস্পতিবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর জেরে থানে, পালঘর, কল্যাণ, কোলাপুর, পুনে, রায়গড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। এদিকে আজ অত্যধিক ভারী বৃষ্টির জন্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে রায়গড়, সাতারা এবং রত্নাগিরি জেলার জন্যে। এদিকে অতিভারী বৃষ্টির জন্যে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছএ কোলাপুর, পুনে, সিন্ধুদুর্গ, মুম্বই, থানে এবং পালঘের জন্যে।
এদিকে এই পরিস্থিতি গতরাতেই মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে আসেন উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস এবং অজিত পাওয়ার। এদিকে রাজ্যবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন যাতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোন তাঁরা। এদিকে মুম্বই, পুনে সহ রাজ্যের একাধিক জায়গার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেক জায়গাতেই বৃষ্টির জেরে বন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে সেনা এবং নৌবাহিনীর সাহায্যে মানুষজনকে উদ্ধারের পরিকল্পনা করছে সরকার।
এই বৃষ্টির জেরে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুনে। সেই শহরে বহু জায়গাতেই ঘরবাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। অনেক নীচু এলাকাতে তো বাড়ি প্রায় জলের তলাতেই চলে গিয়েছে। এই আবহে বুধবার রাতে তিনজন ফুডস্টল কর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন। এদিকে ভূমিধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এদিকে দু’জন বন্যার জলে ডুবে মারা যান পুনেতে।