ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জন্মদায়ী মা-কে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে ছেলে। রোমহর্ষক ওই ঘটনার সাক্ষী হয়েছে ত্রিপুরা। আজ খোয়াই রতনপুরের ঝড়া বস্তি এলাকায় ওই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে। পাশাপাশি পুলিশ ধারালো অস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে পার্বতী ঝড়ার (৫৫) বড় ছেলে কৃষ্ণ মোহন ঝড়া মা’কে ঘুম থেকে ডেকে তোলার জন্য ডাকাডাকি শুরু করলে তিনি কোন সাড়া দেননি। পরবর্তী সময়ে দরজার ফাঁক দিয়ে সে দেখতে পায় তার ছোট ভাই হরিচরণ ঝড়া তার মা’কে হত্যা করে ঘরে দা নিয়ে বসে রয়েছেন। সেই দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে কৃষ্ণ মোহন ঝড়া খবর দিয়েছেন খোয়াই থানায়।
এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছে খোয়াই থানার ওসি সুবীর মালাকার, থানার সেকেন্ড অফিসার যুগল ত্রিপুরা সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে। তারপর হরিচরণকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পরবর্তী সময়ে ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এদিকে, পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠিয়েছে।
বড় ছেলে কৃষ্ণ মোহন জানিয়েছেন, ছোট ভাই হরিচরণের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন তার মা। ডাক্তার দেখার বিষয়কে কেন্দ্র করে গতকাল রাতে মার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়েছিল। গভীর রাত সে মাকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছোন। ধারালো দা দিয়ে মায়ের দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দিল সে। ওই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।