রিপোর্ট অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ায় ৫ বছরের বেশি চাকরি করা ব্যক্তিদের জন্যে এই ভিআরএস স্কিম চালু হয়েছে। এদিকে যে স্থায়ী কর্মীরা পাঁচ বছরের কম সময়ের জন্যে সংস্থায় কাজ করেছেন, তাঁদের জন্যে চালু হয়েছে ভিএসএস (ভলান্টারি সেপারেশন স্কিম)। আগামী এক মাসের মধ্যে আগ্রহী কর্মীরা ভিআরএস বা ভিএসএস-এর জন্যে আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, বেসরকারিকরণের পরে এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্যে ভিআরএস স্কিম চালু করল এয়ার ইন্ডিয়া।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারার মার্জারের ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন। এরই সঙ্গে এআই এক্সপ্রেসের সঙ্গে এয়ার এশিয়া ইন্ডিয়াকে মিশে যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছে ডিজিসিএ। এই আবহে বছর শেষের আগে এই মার্জার কার্যকর করতে বিদেশি বিনিয়োগকারী পার্টনার সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সম্মতির প্রয়োজন।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে দেশ জুড়ে প্রায় রোজই পরপর উড়ান বাতিল হচ্ছিল ভিস্তারার। এই আবহে টাটার এই উড়ান সংস্থার সংকটে হস্তক্ষেপ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ফ্লাইট বাতিলের বিষয়ে ভিস্তারার কাছ থেকে একটি বিশদ রিপোর্ট চেয়েছিল। এদিকে ভিস্তারাকে তাদের ফ্লাইট বিলম্ব এবং বাতিলের দৈনিক বিবরণ জমা দিতে বলেছিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন।
পর্যাপ্ত সংখ্যায় পাইলট না থাকায় এপ্রিল মাসের দু-তিন সপ্তাহ কয়েকশো উড়ান বাতিল করেছিল টাটা গোষ্ঠী এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের যৌথ মালিকানাধীন এই বিমান সংস্থাটি। পরে সেই সংকট কেটে যায়। পাইলটরা ভিস্তারার নয়া সই করেন। এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে ভিস্তারার সংযুক্তিকরণের আগে উদ্বেগের কারণেই ভিস্তারার পাইলটদের এই সংকট দেখা দিয়েছিল।