ভোটমুখী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই মুহূর্তে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কান ঘেঁষে বড় বিপত্তি বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে চর্চা তু্ঙ্গে। সদ্য তাঁকে শনিবার এক জনসভায় টার্গেট করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। কানে আঘাত পান প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট টাম্প। মুহূর্তে গুলি চালনাকারী ক্রুকসেরও মৃত্যু হয়। এদিকে, মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর, ট্রাম্পকে টার্গেট করে হামলার সপ্তাহ আগে, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর ছিল। সেক্ষেত্রে ইরানের যোগ রয়েছএ বলে গোপন সূত্রে খবর পান আমেরিকার গোয়েন্দারা।
এক মানব-সূত্র মারফৎ মার্কিন গোয়েন্দারা খবর পেয়েছিলেন যে ট্রাম্পকে হত্য করতে ইরানের একটি নাশকতার প্লট তৈরি হচ্ছে। ট্রাম্পের ওপর হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে আসে। এদিকে, ট্রাম্পেক দিকে বন্দুক তাক করে গুলি চালানো ২০ বছরের ম্যাথিউ ক্রুকসের সঙ্গে ইরানের কোনও যোগ রয়েছে, কি না, তা তদন্তে খতিয়ে দেখছে মার্কিন গোয়েন্দাবিভাগ। তবে কোনও সংযোগ মেলেনি আপাতত। মার্কিন নিরাপত্তা বিভাগের এক অফিসার জানিয়েছেন, মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস ও ট্রাম্পের প্রচার বিভাগকে ইরানের নাশকতামূলক গোপন ষড়যন্ত্রের বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
আমেরিকা জুড়ে একটাই প্রশ্ন আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে, কেন ক্রুকস ট্রাম্পকে গুলি করতে গিয়েছিল? কেন ট্রাম্পের ওপর হামলা হল? এই প্রশ্নের মাঝেই ইরানের গোপন নাশকতার ছকের তথ্যটি উঠে আসছে। প্রসঙ্গত, আমেরিকার তখতে থাকাকালীন ২০২০ সালে ট্রাম্পের প্রশাসনের ড্রোন হামলায় ইরানের কোয়াদ ফোর্সের প্রধান কাশিম সোলেমানির মৃত্যু হয়। তারপর থেকে ট্রাম্প ও পম্পেওকে ঘিরে তেহরানের তরফে বেশ কিছু আশঙ্কা করা হয়েছিল। সিক্রেট সার্ভিসের মুখপাত্র অ্যান্টনি গুগলিয়েলমি বলছেন,’কোনও একটি হুমকি নিয়ে বলতে পারছি না, তবে সব ধরনের হুমকিকে সিক্রেট সার্ভিস গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, আর সেই অনুযায়ী কাজ করে।
এদিকে, আমেরিকায় অবস্থিত ইরানের দূতাবাস এই নাশকতার তথ্যকে খারিজ করে দিয়েছে। ট্রাম্পের ওপর ইরানের হামলার ছকের খবরকে ‘ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষমূলক’ বলে দাবি করেছে। যদিও ইরান বলছে, ট্রাম্প,’একজন অপরাধী যাকে অবশ্যই আইনের আদালতে বিচার করতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে।’