1721234923957
SHARE

প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী ১০ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ না হওয়ায় বুধবার সকালে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের জড়িত ভারতরত্ন সংঘের ক্লাব ঘর। আগরতলা শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে উষা বাজার এলাকায় অবস্থিত এই ভারতরত্ন সংঘ। ত্রিপুরা রাজ্যের এক অন্যতম প্রধান ক্লাব ভারতরত্ন সংঘ। দাপট, অহংকার, নিগো মাফিয়া সবকিছুর ক্ষেত্রেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে দীর্ঘ দশক ধরে। পাশাপাশি সরকারি খাস জমিতে ক্লাব ঘর স্থাপন করে যুগ যুগ ধরে বেআইনি কার্যকলাপেও যুক্ত ভারতরত্ন সংঘ। বুধবার সকালে কয়েক ঘন্টার প্রশাসনিক অভিযান ধুলিস্যাৎ করে দিল নেতাদের দাপট, অহংকার সবকিছু।

 এবার শুরু হবে সরষে ভূত খোঁজার পালা। এমনটাই ষ্পষ্ট হয়েছে জেলা শাসকের বক্তব্যে। এদিন ভোরবেলা সূর্য উঠার আগে বুলডোজার নিয়ে জেলাশাসক ডঃ বিশাল কুমার পৌঁছে যান ক্লাব প্রাঙ্গণে। জেলা শাসকের সাথে ছিলেন বিশাল পুলিশ, টি এস আর, সি আর পি এফ বাহিনী, দমকল কর্মীরা এবং বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা সহ ইঞ্জিনিয়াররা। সকলে এদিন এই অভিযান চালিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত নেতাদের ক্লাব ঘরের তিতল ভবন। দশ দিন আগে তদন্তে বিভিন্ন ক্লু পেয়ে সদর মহকুমা শাসকের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ জারি করে ক্লাব ঘরটির উচ্ছেদ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কর্মকর্তারা বলেছিলেন তারা দারস্থ হবেন মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বহু জায়গায় তারা চেষ্টা করেও বিষয়টি নিয়ে জল ঘোলা করতে পারেনি।

 আইন আইনের পথে চলছে। এ বিষয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমার জানিয়েছেন যতদিন ক্লাবটি সামাজিক কাজে জড়িত ছিল ততদিন ক্লাবটি খাস জমিতে গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি প্রশাসন। কিন্তু যেদিন থেকে ক্লাবটি বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়েছিল সেদিন থেকে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এখানে প্রায় সৌয়া কানি জমি রয়েছে। এর জমিতে আগামী দিন একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার অনুমোদন পাওয়া গেছে। এতে উপকৃত হবে আশেপাশের মানুষজন। জেলা শাসক আরো জানিয়েছেন যারা অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আগামী দিন কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সেদিকটাও দেখা হচ্ছে।

তবে যারা অপরাধমূলক ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। সবচেয়ে উদ্বেগ জনক বিষয় হলো সরকারি জমিতে ক্লাব ঘর নির্মাণ করে কিছু বড় মাথা মোটা অংক হাতিয়ে নিয়েছিল এতদিন। ক্লাব ঘরের মধ্যে একটি জিম সেন্টার এবং বিনোদন পার্কের মত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সরকারি জমিতে এভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য খোলাও বড় আইনত অপরাধ।

কাদের পকেটে সেই টাকা গেছে সেটাও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। রাজ্যের বড় বাজেটের পূজা করে থাকে ভারতরত্ন সংঘ। এ বিষয় নিয়ে জেলা শাসক বলেছেন, সামাজিক অনুষ্ঠান অন্য বিষয়। আশেপাশে মানুষজন যদি দুর্গাপূজা করতে চায় তাহলে সেটা মানুষ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে করতে পারবে।


SHARE