ভারতবর্ষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও পরম্পরা সারা বিশ্বের মধ্যে দীর্ঘ প্রাচীন। নতুন প্রজন্মকে খার্চি উৎসব ও চতুর্দশ দেবতা বাড়ির ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে অবগত করতে হবে। এসবের ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে অবহিত করতে না পারলে এই উৎসবের ঐতিহ্য অধরা থাকবে।
খয়েরপুরের পুরাতন আগরতলার চতুর্দশ দেবতাবাড়ি চত্বরে ৭ দিন ব্যাপী রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী খার্চি উৎসব ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। প্রত্যেক বছরের মতো এবারো হাওড়া নদীর পুণ্যস্নানঘাটে চতুর্দশ দেবতাকে অবগাহনের মধ্য দিয়ে সূচনা হয় রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী জাতি জনজাতি মানুষের মিলন মেলা খার্চি উৎসব। এবার ২৬৫ বছরে পদার্পন করলো খার্চি পুজো।
উদ্বোধকের বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, খার্চি পুজোর ফাইল আমার কাছে আসলে উদ্বোধনের দিনটি রবিবার ছুটির দিন লক্ষ্য করি। সাধারণত এধরণের সরকারি ছুটি সবাই আশা করে থাকেন। তাই অন্যান্যদের সাথে কথা বলে খার্চি উৎসবের সমাপ্তি দিন অর্থাৎ ২০ জুলাই সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করি যাতে এই উৎসবে মানুষ আরো বেশি আনন্দের সাথে সামিল হতে পারেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই উৎসবে ফের একবার অংশ নিতে পেরে খুবই আনন্দিত বোধ করছি। এখানে আবার আসতে পেরে এই এলাকার বিধায়ক তথা উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রতন চক্রবর্তী ও তাঁর সহযোগীদের ধন্যবাদ জানাই।