প্রেগনেন্সির সময়টা সব গর্ভবতী মহিলাদের খাবার নিয়ে একটু বেশিই সচেতন হতে হবে। কারণ, এই সময় শুধু আপনি একা নন, বরং আপনার গর্ভে বাড়ছে সন্তান। তাই এই কয়েকটি মাস এমন কিছু খাবার খেতে হবে যাতে আপনার পাশাপাশি তার শরীরের পুষ্টির ঘাটতিও মিটে যায়। আর আনন্দের বিষয় হল, এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কয়েকটি পরিচিত ফল। এগুলির গুণেই ৯টা মাস আপনি একবারে হেসেখেলে জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন।
তাই আর সময় নষ্ট না করে এই নিবন্ধ থেকেই প্রেগনেন্সির সেরা ৫ ফল সম্পর্কে জেনে নিন। তারপর এদেরকে ডায়েটে করে দিন জায়গা। ব্যস, তাহলেই আর বিপদের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পেতে হবে না। উল্টে দ্রত বাড়বে সন্তান।
কমলালেবুর জুড়ি মেলা ভার – আমাদের অতি পরিচিত কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। আর এই ভিটামিন গর্ভাবস্থায় একাধিক সংক্রামক রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ফলে বেশ কিছুটা ফোলেটও মেলে। আর এই ভিটামিন কিন্তু মা এবং সন্তানের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার কাজে একাই একশো। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই কমলালেবু খাওয়া শুরু করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
আমের শরণাপন্ন হন –
কথায় আছে ফলের রাজা আম। আর এই তকমা এমনি এমনি জোটেনি। বরং এর পিছনে রয়েছে কিছু বিজ্ঞানসম্মত কারণ।
জানলে অবাক হবেন, এই ফল হল ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। আর এই দুই ভিটামিন গর্ভবতী নারীদের শরীরের হাল ফেরানোর কাজে একাই একশো। আর সেই কারণে বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী নারীদের নিয়মিত এই ফল খেয়েই রসনাতৃপ্তি করার পরামর্শ দেন। আশা করছি, এই নিয়মটা মেনে চললেই পাবেন উপকার।
বেদানার জুড়ি নেই – এই ফলের স্বাদের নেই কোনও তুলনা। তবে শুধু স্বাদ নয়, স্বাস্থ্যগুণেও কিন্তু এর জুড়ি মেলা ভার। কারণ, এতে রয়েছে–
১. ভিটামিন কে
২. ক্যালশিয়াম
৩. আয়রন
৪. প্রোটিন
৫. ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান।
আর এসব উপাদান শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজে একাই একশো। শুধু তাই নয়, এই ফল নিয়মিত খেলে গর্ভাবস্থায় এনার্জির ঘাটতিও অনায়াসে মিটিয়ে ফেলা যায়। তাই রোজের ডায়েটে এই ফলকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!
সেরার সেরা অ্যাভোকাডো – পকেটের জোর থাকলে নিয়মিত অ্যাভোকাডো খেতেই পারেন। কারণ এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে-এর ভাণ্ডার। এমনকী এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, বি ভিটামিন, পটাশিয়াম এবং কপার রয়েছে। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু গর্ভবতী নারীর শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনারা রোজের ডায়েটে অবশ্যই অ্যাভোকাডোকে জায়গা করে দিন। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
পেয়ারার শরণাপন্ন হন – দামে কম হলেও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর পেয়ারা। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, পলিফেনলস, ক্যারোটিনয়েডস, আইসোফ্ল্যাভোনয়েডস, ফোলেট থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি উপাদান। শুধু তাই নয়, এই ফল নিয়মিত খেলে পেশি রিল্যাক্স করতে পারে। এমনকী কমে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই এই ফলকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।