ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা। ধর্মীয় এই উৎসব ঘিরে স্বামীবাগ ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে ঢল নেমেছে লাখো সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের। রথযাত্রাটি রবিবার বিকেল ৩টার পর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। আগামী ১৫ জুলাই বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির হতে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে এসে শেষ হবে উল্টো রথযাত্রা।
ইসকন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, এদিন বেলা ২টার পর থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন সাজে আসতে শুরু করে ইসকন মন্দির প্রাঙ্গণে। বিভিন্ন সাজে মন্দির প্রাঙ্গণে এসে উপস্থিত হতে থাকে সনাতন ধর্মের অনুসারীরা। বেলা ৩টার পর শুরু হয় রথের দড়ি টানা। বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে নেচে গেয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরের উদ্দেশে শুরু হয় যাত্রা। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।
এদিকে, বাংলাদেশের বগুড়ায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। রবিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ী আমতলী মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. স্নিগ্ধ আখতার বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন।
এর মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ। জানা গেছে, সেউজগাড়ী ইসকন মন্দির থেকে রথযাত্রাটি বিকেল ৫টায় বের হয়। পথিমধ্যে সেউজগাড়ী আমতলা মোড় এলাকায় পৌঁছালে রথের গম্বুজটি রাস্তার উপরে থাকা হাইভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসে। রথের গম্বুজটি স্টিলের হওয়ায় বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে তারে আগুন লেগে যায়। এ সময় রথে থাকা এবং আশপাশের অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর পাঁচজন মারা যান।