প্রদেশ বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে,জল্পনা তুঙ্গে আগরতলা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য এখন রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপি যেহেতু এক ব্যক্তি এক পদে বিশ্বাসী তাই প্রদেশ সভাপতি পদে নতুন কেউ আসবেন-এই বিশ্বাস দলীয় কর্মীদের অনেকের মধ্যেই। যদিও প্রদেশ বিজেপির মধ্যে অনেক নেতাই আছে দু’টি পদে রয়েছে। শাসক দলের নীচু তলার কর্মীদের মধ্যে এখন জল্পনা পরবর্তী প্রদেশ সভাপতি কে হবেন? প্রদেশ বিজেপিতে দেখা যায় খুব কমই ভোটাভুটির মাধ্যমে অর্থাৎ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি নির্বাচিত হতে। সাধারণত দিল্লি থেকেই ঠিক করে দেওয়া হয় প্রদেশ সভাপতি কে হবেন। প্রয়াত প্রাক্তন সভাপতি সুধীন্দ্র দাসগুপ্তের পর প্রদেশ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপ্লব কুমার দেবকে। তারপর তাঁকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় ডাঃ মানিক সাহাকে। তারপর এই পদে আসেন বর্তমান সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তাদের কেউই ভোটাভুটির মাধ্যমে সভাপতি হননি। তাই এবার যেহেতু রাজীব বাবু রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন তাই প্রদেশ সভাপতি কে হবেন-তা নিয়ে চলছে জল্পনা। বেশ কয়েকটি নামই রয়েছে চর্চায়। প্রথমত ধরা যাক সুবল ভৌমিক। পোড় খাওয়া নেতা। অনেক আগে থেকেই বিজেপিতে আছেন যদিও মাঝখানে দল বদলে চলে গিয়েছিলেন। আর এই অস্থির সিদ্ধান্তই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে তিনি দলের প্রদেশ সহ সভাপতি। দক্ষ সংগঠকও বটে। চর্চায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের। তিনি এবারের লোকসভা নির্বাচনে টিকিট পান নি। দলের বড় কোনও পদেও নেই। কি পুরানো কার্যকর্তা। রাজ্যব্যাপী পরিচিতি রয়েছে। জনসংযোগও ভালই কিন্তু কোথাও যেন ঘাটতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তিনি তুষ্ট করতে পারছেন না। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তাঁকে খুব একটা দেখা যায় না। আর এক প্রদেশ সহ সভাপতি হচ্ছেন ‘ডাঃ অশোক সিনহা। কিন্তু তাঁকে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া তিনি দক্ষ সংগঠন নন। দাম্ভিক বলে আর একটা অখ্যাতি রয়েছে অনেকের মধ্যে। বিজেপি দল বিশেষ নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা বরাবরই যুবা নেতৃত্বের উপর বেশি আস্থাবান। এই অবস্থায় প্রাক্তন মন্ত্রী দলের বর্তমান বিধায়ক ও প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক ভগবান দাস প্রদেশ সভাপতির দৌঁড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন। বেশিরভাগ তিনি এখন দলের রাজ্য কার্যালয়েই সময় কাটান। তরুণ এই নেতা প্রদেশ সভাপতি হলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। এখন দেখা যাক কবে নাগাদ প্রদেশ সভাপতির পরিবর্তন হয়