সাব্রুম থানার তোল্লাবাজ এএসআই মরণ বৈদ্যের বিরুদ্ধে সাব্রুমের সাধারণ জনগণের একেবারেই সীমাহীন তোলা আদায়ের বহু অভিযোগ নিয়ে আজ মহাকুমা পুলিশ সুপারের দ্বাদস্ত হলেন।
রাজ্যের বর্তমান জোট সরকারের শাসনে হঠাৎ গত কিছুদিন আগে রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি, খুন ও ধর্ষণের খবর শুনতে পেয়ে কিভাবে প্রতিটি সমস্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট তৎপর হয়ে উঠেছে, রাজ্যের সকল অংশের জনগণের কথা মাথায় রেখে। রাজ্যের জনগণের হৃদয়ের তথা সুশীল সমাজের প্রকৃত কাছের বন্ধু প্রফেসার ডক্টর মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজ্যের জনগণকে বার্তা দিয়েছে অন্যায়ের সাথে কোন আপোষ নয়। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডক্টর মানিক সাহার নির্দেশ মতন রাজ্যের সমস্ত থানা গুলি যথেষ্ট তৎপর হয়ে উঠেছেন। এর সাথে সাথে রাজ্যের সকল অংশ জনগণ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে নিজ নিজ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করে যাচ্ছেন।
রাজ্যের অন্যান্য থানা গুলির মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম থানা নাম উঠে এসেছে সাব্রুম থানা। গত প্রায় বছর খানিক আগে শান্তির বাজার থানায় তোলা আদায়ের প্রকাশ্য অভিযোগ এনে জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ে এএসআই মরণ বৈদ্য বাবুকে সাব্রুম থানায় নিয়ে আশায় হয়। গত একবছর যাদব এএসআই মরণ বৈদ্য সাব্রুম থানাতে এসে সাব্রুম থানার অন্তর্গত সাব্রুমের বহু সাধারণ জনগণকে নানা হ রকম আইনি প্রক্রিয়ার অজুহাত দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়ে প্রকাশ্য নিরীহ অসহায় সাধারন লোকজনদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলা আদায়ের জন্য নেমে পরেছেন। শেষমেষ আজ দুপুর ১২ ঘটিকার সময় সাব্রুম থানার অন্তর্গত সাব্রুমের বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তেজিত হয়ে সাব্রুম মহকুমা পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ সরকারের সাথে প্রায় ২০ থেকে ২২ জন সাধারণ জনগণ দেখা করে সাব্রুম থানার এএসআই মরণ বৈদ্য তাদের কাছে কবে কত টাকা নিয়েছে তা অভিযোগ জানান। অভিযোগ কারিরা জানান, জোরপূর্বক মোটর বাইকের ডাইভিং লাইসেন্স নিয়ে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা, বিয়ের ফার্নিচার নিতে এসে ৪০ হাজার টাকা, মোটর সাইকেল – গাড়ি এক্সিডেন্ট হলেই দুইপক্ষ থেকে মোট অংকের টাকা আদায়, সুরা প্রেমীরা একটু মদ্যপান করলেই তাঁরা টাকা দিতে হয়, এইরকম বহু অভিযোগ নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ সরকার তাদের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ শুনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এইছাড়া মরণ বৈদ্য বাবু সাব্রুম থানার অন্তর্গত যে সমস্ত তীরের এজেন্ট, হিরোইন-ট্যাবলেট, গাঁজার এজেন্টদের কাছ থেকে সরাসরি থানার আধিকারিকদের নাম ভাঙিয়ে তোলা আদায়ের নিমজ্জিত। সাব্রুম থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এএসআই মরণ বৈদ্যর তোলা আদায়ের এহেন কর্মকাণ্ডের পাহাড়সমান অভিযোগ প্রতিনিয়ত সাব্রুম থানায় জমা পড়তে শুরু করেছে। অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন সাব্রুম থানার অন্যান্য পুলিশ বাবুরা। সাব্রুম থানার অন্তর্গত সাব্রুমের বিভিন্ন এলাকা পা রাখলে শুনতে পাওয়া যায় এএসআই মরণ বৈদ্যর তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে উত্তেজিত জনতার কণ্ঠস্বর। এখন দেখার বিষয় আদৌ কি ঐ তোল্লাবাজ মরণ বৈদ্যর বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবেন ?